আসুন কুরআনের আয়াতের একটা উসুল শিখি।।
আল্লাহ সুরা নিসার ৫৯ আয়াতে বলছেন
"হে মুমিনগণ তোমরা মান্য করো আল্লাহ এবং তার রসুলকে এবং মান্য করো তোমাদের মধ্যে যারা উলিল "আমর মিনকুম",
যদি তাদের মধ্যে কোন মত বিরোধ হয় তবে আল্লাহ এবং রসুলের দিকে ফেরত আসো।।"-নিসা-৫৯
শিক্ষনীয়:-
১)আল্লাহ তাকে এবং রসুল(স) কে মানার সাথে সাথে "উলিল আমর মিনকুম" মানতে বলেছেন বা আনুগত্য করতে বলেছেন।
এই "উলিল আমর" শব্দের অর্থ হচ্ছে ইসলামের বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী আলেম।
এর অর্থ ফকিহ বা মুহাদ্দিসও হয়।
কিন্তু এই আয়াত থেকে একজন কোন নির্দিষ্ট ফকিহ বা আলেমকে বুঝায় না।
তার কারন হচ্ছে আয়াতে
"উলিল আমর" অর্থাৎ আলেম শব্দটার পরে
"মিনকুম" শব্দটা রয়েছে।।
যার হচ্ছে বহুবচন,অর্থাৎ এই "মিনকুম" শব্দটা "আলেম" শব্দটাকে বহুবচনে রুপান্তরিত করেছে অর্থাৎ "আলেমগণ" হবে।
অর্থাৎ এখন কুরআনের আয়াত গিয়ে দাড়ালো
".........এবং মান্যকর তোমাদের মধ্যে যারা "উলিল আমর মিনকুম" বা আলেমদেরকে বা ফকিহদেরকে বা মুহাদ্দিসদেরকে"
অর্থাৎ আয়াতের এই অংশ থেকে এটা স্পষ্ট যে সুরা নিসার এই আয়াত থেকে যে কোন ১ মাযহাবকে অনুসরন করা সয়ং আল্লাহর দেওয়া বিধানের বিপরীত আমল।।
অর্থাৎ সব মাযহাবের আলেমদের থেকে ফাতওয়া গ্রহণ করাই হবে এই আয়াতের উপর আমল।
এই ক্ষেত্রে শাহ উলিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী(র) তার" আল ইনসাফ ফি বায়ানি আসবাবিল ইখতেলাফ " কিতাবে স্পষ্ট করে লেখেন যে শাফিঈ মাযহাবের অনুসারীর জন্য হানাফি মাযহাবের ফাতওয়া এবং হানাফি মাযযহাবের অনুসারীর জন্য শাফিঈ মাযহাবের ফাতওয়া গ্রহণ করা বৈধ।।।
শিক্ষনীয় :-
২) আয়াতের আরেকটা অংশ হচ্ছে"......যখন তাদের(আলেমদের) মধ্যে কোন মতানৈক্য হবে তখন আল্লাহ এবং রসুলের দিকে ফেরত আসো"
অর্থাৎ ইমাম আবু হানিফা বলেছেন নাভির নিচে হাত বাধার কথা।
কিন্ত কিছু আলেম সেই হাদিস সহি বললেও অধিকাংশের মতে হাদিস সহি না।
অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে নাভীর নিচে হাত না বেধে,বুকে হাত বাধার সহি হাদিস গ্রহণ করা অর্থাৎ আল্লাহর রসুল(স) অনুসরন করা।।
আর এই বিষয়টাই হলো আয়াতের শেষাংশ যে যখন আলেমদের মধ্যে মতনৈক্য হবে তবে সহি হাদিসের উপর আমল করা এবং আলেম এর মত ত্যাগ করা।।
মোট কথা এই আয়াত দ্বারা প্রমানিত কোন একজন আলেমকে অনুসরন করা এবং আলেমদের মধ্যে মতনৈক্য হলেও সেই ভুল মতকে অনুসরন করা স্পষ্ট এই আয়াতের খেলাফ অর্থাৎ আল্লাহর বিধানের বিপরীত।।।
আল্লাহ সবাইকে হিদায়েত দিক, আমিন।