তবে আমি শ্বশুর শাশুড়িকে মা বাবা হিসেবে সম্মান করার পক্ষে। তবে অনেক শাশুড়ি আমি দেখেছি বউকে কাজের মেয়ের মত আচরণ করে, যেটা ইসলামের দৃষ্টিতে স্পষ্ট জুলুম। এবং এই জুলুমের বিরুদ্ধে তারা স্বামীকেও কিছু বলতে পারেনা বা স্বামী দেখলেও তার মীমাংসা করেনা। তারা মনে করে শাশুড়ির হুকুম মানা এবং দেখাশোনা করা বউয়ের উপর ফরয। কিন্তু ইসলাম এটা বলেনি। ইসলামে মায়ের সেবা করার দায়ীত্ব দিয়েছে ছেলে মেয়ের উপর। বউয়ের উপর নয়। যদি বউ মা মনে করে সওয়াবের আশায় শাশুড়ির সেবা করে তাহলে নিঃসন্দেহে সেটাতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কারণ আল্লাহ মুরব্বিদের সম্মান করতে বলেছেন কোরানে। বউ যদি সওয়াবের আশায় এবং সেও একদিন শাশুড়ি হবে এই মনমানসিকতা নিয়ে শ্বশুর শাশুড়ির সেবা করে তাহলে সেটা তাদের জন্য খুব ভাল। কিন্তু তাকে জোর করা যাবেনা। এটা ইসলামে নিষিদ্ধ। কারণ এটা তার উপর ফরয নয়, বরং মুস্তাহাব (উত্তম)। স্ত্রীদের মাথায় রাখা উচিত যে স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখাই হল তাদের দায়ীত্ব। তাই তারা শ্বশুর শ্বাশুড়ির সেবা করবে। আর জামাইরও দেখা উচিত বউয়ের উপর শ্বশুর শাশুড়ি কোন অন্যায় অত্যচার বা জুলুম করছে কিনা। মা বাবা বলে চুপ থাকা আদর্শবান স্বামীর লক্ষণ নয় সেটা। উত্তম পন্থায় তাদেরকে বুঝাতে হবে এবং স্ত্রীকেও শান্তনা দিতে হবে। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে কেয়ামতেরদিন স্বামীকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। আমি দেখেছি অনেক শাশুড়ি বউয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন করে, কাজের মেয়ের মত খাটায়। এমনও দেখেছি বউ প্রেগন্যান্ট হওয়া সত্ত্বেও তাকে গৃহস্থালি কাজ কর্ম করতে বাধ্য করা হয়, অথচ এই অবস্থায় সবার উচিত তাকে সেবা করা।
রাসুল (স) বলেন- সে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।