হযরত ইসহাক ইবনে খালফ (রহ.) বলতেন,
যে ব্যক্তি গোনাহ করার পর অনুশোচনায় ক্রন্দন করে
এবং কিছুক্ষণ পর চোখ মুছে ফেলে সে প্রকৃত ভীত নয়।
বরং আল্লাহর ভয়ে যারা গোনাহ চিরতরে পরিত্যাগ করে,
সে ব্যক্তিই প্রকৃত ভীত।
হযরত সিররী সাকতি (রহ.) বলতেন,
কুরআন তেলাওয়াত কিংবা কোন উপদেশমূলক বাণী শ্রবণ
করে যাদের চোখে পানি আসে, তাদের ভয়পোষণকারী বলা যাবে না।
বরং যারা কর্মফল সম্পর্কে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমার আশ্বাস
না পাওয়া পরর্ন্ত ক্রন্দন করতে থাকে তারাই ভয়পোষণকারী।
হযরত আবু সুলায়মান দারানী (রহ.) বলতেন,
হযরত ফুজাইল ইবনে আয়াজ (রহ.) সূরা “আল-কারিয়া”
শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারতেন না।
একবার এই সূরা শ্রবণ করে তিনদিন দিনরাত পযর্ন্ত
বেহুশ অবস্থায় পড়ে ছিলেন। এমনকি তার সাহেবজাদার সামনে
যখন কোন এক ক্বারী সাহেব এই সূরা পড়ছিল
তখন তিনি কিয়ামতের ভয়ে প্রাণত্যাগ করেন।
সূতরাং প্রকৃত আল্লাহভীরু তারাই,
যাদের সামনে আল্লাহর নাম, জাহান্নামের কথা
আসলে তাদের অন্তর বিগলিত হয়ে যায়
এবং চিরতরে গুনাহ পরিত্যাগ করে।