সাহাবাগণের পরবর্তী যুগে কোনও মুসলিমের জন্য সাহাবার মর্তবা ও মর্যাদায় পৌছনো সম্ভব?

গ্রন্থঃ দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
অধ্যায়ঃ সাহাবা

সাহাবাগণের মর্তবা ও মর্যাদায় পৌঁছানো কোনক্রমে সম্ভব নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম যুগ হল আমার (সাহাবীদের) যুগ। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেয়ীদের)যুগ। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবে-তাবেয়ীনদের) যুগ।’ ৫৭
তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সাহাবাগণের চাইতে বেশি সাওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। যেহেতু নাবী (সঃ) বলেছেন,
‘তোমাদের পরবর্তীতে আছে ধৈর্যের যুগ। সে (যুগে) ধৈর্যশীল হবে মুষ্টিতে আঙ্গার ধারণকারীর মত। সে যুগের আমলকারীর হবে পঞ্চাশ জন পুরুষের সমান সওয়াব।’ জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহ্‌র রাসূল! পঞ্চাশ জন পুরুষ আমাদের মধ্য হতে, নাকি তাদের মধ্য হতে?’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমাদের মধ্য হতে!’ অন্য বর্ণনায় আছে, ‘ তোমাদের পঞ্চাশজন শহীদের সমান সওয়াব।’৫৮

সাহাবাগন ইসলামের প্রারাম্ভিককালে কত কষ্ট বরণ করেছেন, কাফেরদের অত্যাচারে কত ধৈর্য ধারণ করেছেন, কত শত বাঁধা-বিপত্তি উল্লংঘন করে ঈমান ও ইসলামকে  যথার্থরূপে পালন করে গেছেন। আর পূর্ববর্তী যুগের ধৈর্যশীল লোকেরাও নানা ফিতনার মাঝে, নানা ভ্রষ্টকারী দল ও মতের মাঝে, সর্বগ্রাসী ও সর্বনাশী ঈমান ও চরিত্র-বিধ্বংসী প্রচারমাধ্যমের মাঝে, অশ্লীনতা ও নোংরামির মাঝে ঈমান টিকিয়ে রাখে। সে সকল ফিতনা ও প্রচারমাধ্যম সাহাবাগনের যুগে ছিল না। তাই তো তাদের পঞ্চাশ গুণ সওয়াব বেশি!

৫৭ (বুখারী-মুসলিম) ৫৮ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ত্বাবারানী, সঃ জামে’ ২২৩৪ নং)

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form