প্রশ্ন: শিয়ারা হজরত আলী রা. ও তার পরিবারবর্গের নামের শেষে আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে । ইসলাম এ বিষয়ে কি বলে?

জীবন ঘনিষ্ঠ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-পর্ব: ১৬

প্রশ্ন: যদি কেও তার পিতাকে না জানিয়ে তার পকেট থেকে টাকা নিয়ে থাকে এবং পরে যখন তার ভুল বুঝতে পারে তখন তার কি করণীয়?

উত্তর: কেউ যদি পিতার অজান্তে যদি তার পকেট থেকে টাকা নিয়ে থাকে (আর বাবার আচরণ থেকে জানা যায় যে, তিনি তাতে রাগ করবেন) তাহলে তার করণীয় হল, আল্লাহর নিকট তওবা করা এবং তার টাকা তাকে ফেরত দেয়া। তবে জানিয়ে টাকা ফেরত দিতে গেলে বা মাফ চাইতে গিয়ে যদি সম্ভাবনা থাকে যে, বাবা রাগারাগি করবেন বা অপ্রত্যাশিত কোন আচরণ করবেন তাহলে যে কোনভাবে উক্ত টাকা তার কাছে পৌঁছিয়ে দিলেও যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। জানিয়ে দেয়া জরুরি নয়।
আল্লাহু আলাম।
🔸🔹🔸🔹🔸
প্রশ্ন: শিয়ারা হজরত আলী রা. ও তার পরিবারবর্গের নামের শেষে আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে । তাদের যুক্তি হল, আমরা নামাজে হজরত মুহাম্মদ (সা) ও তার পরিবারবর্গের উপর দরুদ পড়ি । সেখানে হজরত মুহাম্মদ (সা) এর পরিবার ও বংশের উপর দরুদ পেশ করতে বলা হয়েছে । হজরত আলী (রা) ও তার পরিবার হজরত মুহাম্মদ (সা) এর বংশধর । কাজেই হজরত আলী (রা) ও তার পরিবারের উপর দরুদ পড়া যাবে । এই ক্ষেত্রে সঠিক জবাব কি হতে পারে?

উত্তর: শিয়াদের সাথে আমাদের এ সব ছোটখাটো বিষয়ে তর্ক করে কোন ফায়দা নাই। তারা আমাদের মূল আকিদা ও বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। 
তারা যেখানে কয়েকজন আহলে বাইত ছাড়া অন্য সাহাবীদেরকে কাফির/মুরতাদ বলার মত ধৃষ্টতা দেখায়, মুসলিম উম্মাহ এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেমা মা জননী আয়েশা রা. কে ব্যভিচারিণী অভিযোগ দিতে তাদের বুক কাঁপে না...তাদের সাথে  একটা সাধারণ দুআ নিয়ে বিতর্ক করার কোন প্রয়োজন নাই।
সুতরাং সেগুলো বাদ দিয়ে এ সব টুকিটাকি বিষয় অবতারণা করার প্রয়োজন নাই বলে মনে করি।

 🔸🔹🔸🔹🔸
প্রশ্ন: কুরবানির দিনে কুরবানি হওয়ার আগ পর্যন্ত না খেয়ে থাকার কি কোনও নিয়ম আছে?                                                                                       

উত্তর: কুরবানির দিন ঈদের সালাতের পূর্বে কোন কিছু না খাওয়া সুন্নত। বরং ঈদের সালাত শেষে খাওয়া উত্তম। বিশেষ করে যদি ঈদের সালাত শেষে কুরবানির গোস্ত খাওয়া হয় তাহলে তা অধিক উত্তম। হাদিসে এসেছে,
عن بريدة رضي الله عنه قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم لا يخرج يوم الفطر حتى يأكل، ولا يأكل يوم الأضحى حتى يرجع فيأكل من أضحيته. أحمد: ১৪২২ وصححه الألباني في صحيح ابن ماجه
বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের পূর্বে খেতেন না। সালাত থেকে ফিরে এসে কুরবানির গোশত খেতেন। [শাইখ আলবানি রচিত, সহীহ ইবনে মাজাহ: হাদীস নং  ১৪২২ ]
🔹🔸🔹🔸
প্রশ্ন:  এটা কি যে কোরবানি দিবে তার জন্য নাকি পরিবারের সবার জন্য এটা সুন্নত? 

উত্তর: যে ব্যক্তি কুরবানি করবে তার জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে। হাদিসের ভাষা থেকে এটাই স্পষ্ট হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি কুরবানি করবে না সে ঈদের পূর্বে খেতে পারে।  ইমাম যাইলাঈ তাবঈনুল হাকায়েক গ্রন্থে, আল্লামা মোবারক পূরী তুহফাতুল আহওয়াযী গ্রন্থে এবং আরও একদল আলেম হাদিসের  আলোকে উপরোক্ত মত ব্যক্ত করেছেন।) আল্লাহু আলাম।
➖➖➖➖➖➖
উত্তর প্রদানে:
শাইখ আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
দাঈ জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, ksa

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form