সাবধান। বন্ধ করুন হস্তমৈথুন। নাহলে আপনারও এই পরিণতি হতে পারে।
আমার এক বন্ধু নাম, আব্দুল ওয়াহাব, দীর্ঘদিন ধরে অতিমাত্রায় এটা করে আসছিলো। ফলে একপর্যায়ে তার পিঠে মাসল স্পাজম হওয়া শুরু করে। সে রাতে যখন ঘুমাতে যেত তখন সারারাত তার পিঠের মাংসপেশি এমনভাবে টান খেতো যে তার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যেত। এখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনের করুন পরিণতি। সে বুঝতে পারেনি কেন এমনটা হচ্ছে।
তথাপি সে মাঝে মাঝে করতো। এভাবে সে তা থেকে বিরত নাহলে, তার কোমরের হাড্ডিতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করতে লাগলো। ব্যথা দিনদিন বাড়তে লাগলো। পরে এই ব্যথা কোমর থেকে পায়ে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়লো। ফলে সে আর হাটতে পারছেনা। না দাড়াতে পারছে না হাটতে পারছে। সে সম্পূর্ণ পঙ্গু হয়ে গেলো।
অনেক ডাক্তার দেখিয়েছে। কেউ রোগ ধরতে পারলো না। পরে ঢাকা ধানমন্ডি পপুলারে সে একজন নিউরো সার্জন্ট দেখায়। এবং ডাক্তার তাকে MRI করার পরামর্শ দেন। সে MRI করায় ওইদিন এবং পরেরদিন ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখায়।
খুব ভয়ানক রিপোর্ট। ডাক্তার বললো তার মেরুদন্ডের L4-L5 ডিস্কে বালজিং হয়েছে। মানে ডিস্কে কিছু জেলের মত পদার্থ থাকে, এগুলো ডিস্ক ফেটে বেরিয়ে গিয়ে নার্ভকে চাপ দিচ্ছে, যার ফলে ব্যথা কোমর থেকে পায়ে যাচ্ছে।
তাকে ওষুধ দিলো ডাক্তার, কিন্তু দীর্ঘ ৬ মাস খেয়েও কোন ফলাফল পেলোনা। এই ছয় মাস সে সম্পূর্ণ বেডরেস্টে ছিলো। এপাশ থেকে ওপাশ ফিরতে পারতো না। মাংসপেশি টান খেয়ে তার দম বন্ধ হয়ে যেতো।
অবশেষে সে একজন থেরাপিস্ট দেখালো। এবং টানা ৩ মাস থেরাপি দেয়ার পর হালকা হাটতে পারছে। কিন্তু একেবারে সুস্থ না। সে দীর্ঘক্ষণ হাটতে পারেনা, আবার বসেও থাকতে পারেনা, দাড়িয়েও থাকতে পারেনা। তাকে এখন অনেক নিয়ম ম্যানটেইন করে জীবনযাপন করতে হয়।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো- এই রোগ কখনো ভাল হয়না। যতদিন বেচে থাকবে এভাবে থেরাপি দিয়ে দিয়ে বেচে থাকতে হবে।
তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম বিয়ে করবে কিনা। সে সরাসরি না করে দিলো। কারণ তার এই সমস্যার পাশাপাশি যৌন সমস্যাও বাসা বেধেছে শরিলে। সে বললো সে এখন আর হস্তমৈথুন করেনা, তবে সপ্নদোষ হয়। আর যখনি তার সপ্নদোষ হয়, তার মেরুদণ্ড এমন ব্যথা হয়ে যায় যেন মনে হয় হাড়ে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার হাতে। এটা নাকরে পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়ে করে নেন। লজ্জা শরম ফেলে দিয়ে। বাবা মা রাজি নাহলে নিজে নিজে করে ফেলুন। এতে আপনার পাপ হবেনা। কারণ আপনি পাপ থেকে বাচার জন্যই করছেন। বউকে খাওয়াবেন কি এই ফালতু চিন্তা বাদ দেন। আপনি খাওয়ানোর কেউ না। আমাদের সবার রিজিক আমরা সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগেই ফিক্সড হয়ে গেছে। আপনি রাজ প্রাসাদে থাকুন বা রাস্তায় থাকুন আপনার রিজিক আসবেই ইনশাআল্লাহ। ছাত্র বলে পিছয়ে যাবেন না। পড়া লেখার পাশাপাশি চাকরি করুন।
মনে রাখবেন বিয়ে যৌবনের সাথে সম্পর্কিত, ক্যারিয়ারের সাথে নয়।
আল্লাহ হাফেজ।