ভূমিষ্ট মৃত বাচ্চার গোসল , জানাযা, নামকরণ ও আক্বীকা সম্পর্কে জেনে নিন


*** ভূমিষ্ট হওয়ার মূহুর্তে বাচ্চা যদি চিৎকার দেয় ( আওয়াজ বড় / ছোট যাই হোক ) ৪ মাযহাব সহ সকলের ঐক্যমতে নামকরণ, গোসল , জানাযা ও আক্বীকা সম্পন্ন করা বাণ্চণীয় । 

*** মায়ের পেটে যদি বাচ্চা ৪ মাস অতিক্রান্ত হয়ে মৃত ভূমিষ্ট হয়, চিৎকার করুক আর না করুক সর্বাবস্হায় মৃত বাচ্চাটির গোসল, জানাযা, নামকরণ ও আক্বীকা প্রদান বাণ্চণীয় । এ অভিমত দিয়েছেন প্রখ্যাত ইমাম আহমদ ইব্নে হাম্বল রহঃ, হাদিস বিশারদদের একটি বিরাট অংশ , শায়খ সালেহ উসাইমিন রহঃ, শায়খ বিন বায রহঃ প্রমূখ । মহানবী সাঃ বলেছেন 

السقط يصلي عليه و يدعي لوالديه بالمغفرة و الرحمة 

সুনানে আবু দাউদ 

শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহঃ হাদিসটিকে ছহীহ বলেছেন । 

*** হানাফী, মালেকী ও শাফেয়ী মাযহাবে মায়ের পেটে ৪ মাস অবস্হান করা সত্ত্বেও প্রসবের মূহুর্তে আওয়াজ না দিলে সে বাচ্চার জন্য কিছুই করতে হবেনা । তাঁদের দলীল হলো যে, মহানবী সাঃ বলেছেন 

الطفل لا يصلي عليه و لا يرث و لا يورث حتي يستهل 

সুনানে তিরমিযি ।

*** ইমাম আহমদ রহঃ’র অভিমত আমার কাছে উত্তম মনে হয়েছে । 

*** শহীদ ব্যক্তির গোসল ও জানাযা সম্পর্কেঃ

*** ইসলামের জন্য রণাঙ্গনে নিহত ব্যক্তিকে গোসল ও জানাযা ছাড়াই রক্তাক্ত পোষাকে দাফন করতে হবে । যেহেতু ওহুদ যুদ্ধে নিহত সাহাবীদের রাঃ গোসল ও জানাযা দেননি মহানবী সাঃ । 

এ অভিমত প্রকাশ করেছেন মালেকী , শাফেয়ী ও হাম্বলী মাযহাব ও একদল আহলুস সালাফ । 

*** প্লেগ রোগে মারা যাওয়া , পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ইত্যাদি হুকমে শহীদের ক্ষেত্রে গোসল ও জানাযা অবশ্যই দিতে হবে ।

*** অন্যায়ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত ব্যক্তির গোসল ও জানাযা দিতে হবে । সাইয়্যিদুনা ওমর রাঃ, ওসমান রাঃ, আলী রাঃ ছিলেন মহানবী সাঃ ‘র পবিত্র জবানে জীবন্ত শহীদ । তাঁদের গোসল ও জানাযা দুটোই হয়েছিলো । যেহেতু তাঁরা রণাঙ্গনে নিহত হননি । 

MQM Saifullah Mehruzzaman

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form