••• ঘর জামাই •••
*** বাংলাদেশের সকল জেলার ব্যাপারে আমি অবগত না হলেও , চট্টগ্রামের ব্যাপারে খানিকটা অবগত আছি । যেহেতু আমি চট্টগ্রামের মানুষ । চট্টগ্রামবাসী " ঘর জামাই " মোটেই পছন্দ করেন না ।
*** ঘর জামাই " মানে নিজের বিবাহিতা মেয়েকে তাঁর স্বামী সহ সবসময়ের জন্য নিজেদের ঘরে রাখা । অর্থাৎ মেয়ের মা- বাবা'র বাড়িতেই জামাই বাবুর বসবাসের স্থান নির্ধারণ করে দেয়া । ইসলামী শরিয়তে ইহা সম্পূর্ণ বৈধ ।
*** সাইয়্যিদুনা মুসা আ: ঘর জামাই ছিলেন । তিনি একজন নেক্কার ব্যক্তির দু' কন্যাকেই বিয়ে করেন এবং শ্বশুর বাড়িতেই থেকে যান । পরবর্তী সময়ে আল্লাহর নির্দেশে সেখান থেকে ধর্ম প্রচারের কারণে স্বপরিবারে হিজরত করেন ।
*** মহানবী সা: মা সাইয়্যিদাহ খাদিজা রা:কে বিয়ে করে তাঁর বাড়িতেই অবস্হান গ্রহণ করেন । তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সেখানেই থাকেন । পরবর্তীতে অন্যান্য মুহতরমা স্ত্রীদের নিজ বাড়িতেই নিয়ে আসেন ।
*** সূরা আল্ ক্বসসে অবতীর্ণ আয়াত দ্বারা সাইয়্যিদুনা মুসা আ:'র বিয়ে সংক্রান্ত সবিস্তারে বর্ণনা ও প্রিয় নবী করিম সা:'র পবিত্র জীবন থেকে অবগত হলাম যে, ঘর জামাই থাকা না থাকা দুটোই নবীদের আঃ জীবন কাহিনীতে পাওয়া যায় ।
*** সুতরাং ঘর জামাইকে হেয় করা , সম্মানহীন মনে করা এবং কথা কাটাকাটি হলে ঘর জামাই " শব্দ উচ্চারণ করে তাঁকে উপহাস করা গুনাহের শামিল ।
*** অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের সমাজগুলো আমাদেরকে শরিয়ত বিরোধী আমল করাই শিখিয়েছে । আর তাই অজ্ঞতার দরুণ আমরা সামাজিকতাকে শরিয়তের উপর প্রাধান্য দিতে অভ্যস্ত !
*** মা- বাবা'র মৃত্যেুর ৬ বছর পর আমার বিয়ে হয় । আমার পরিবারকে বিদেশে নিয়ে আসার কারণে ভাইদের সংগে অত্যন্ত সামান্য সময় অতিবাহিত হয়েছিলো । তা' ছাড়া ভায়ের সংগে যৌথভাবে থাকার কোন বাধ্যবাধকতা শরিয়তে নেই । বরং আছে তিক্ততা এবং মন - মালিন্যতা ! সকলের সংগে মেহমান সুলভ থাকাটাই উত্তম ।
*** সেই থেকে আজ অবধি পরিবার নিয়ে বিদেশেই অতিক্রান্ত হচ্ছে বর্তমান সময়গুলো ।
*** ঘর জামাই " আমার খুবই পছন্দের । এখানে আমার কোন আপত্তি নেই ।
*** আমার বাপের বাড়িটি অব্যবহৃত পড়ে থাকায় , সেখানে জঙ্গলের রূপ ধারণ করেছে । দেশ সফরে গেলেও আমাকে এমনিতেই বাধ্য হয়ে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতে হয় ।
লিখেছেন শায়েখ MQM Saifullah Mehruzzaman দুবাই থেকে