ফরয নামাজ ত্যাগকারীর শাস্তি

 *** কোন কারণ ছাড়াই সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে এক ওয়াক্ত নামাজ পরিত্যাগকারী ব্যক্তি কাফের, মুরতাদ এবং ইসলাম ধর্ম থেকে খারিজ ।” এ ফতওয়াটি প্রদান করেছেন সৌদিয়ারবের সর্বোচ্চ ফতওয়া পরিষদ اللجنة الدائمة

এবং এর মুখপাত্র শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বায রহ: ।

*** ইমাম ইব্নে হাযাম রহ: বলেন “ আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা আবু বকর রা:, আমীরুল মু’মিনীন ওমর ফারুক রা:, আবু হুরাইরা রা:, আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাস রা:, আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রা:, আবদুল্লাহ ইব্নে আউফ রা: সাহাবীগণ বলেছেন “ ইচ্ছাকৃতভাবে এক ওয়াক্ত নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তি কাফের, মুরতাদ এবং ইসলাম থেকে খারিজ ।”

*** শায়খুল ইসলাম ইব্নে তাইমিয়া রহ: বলেছেন “ ফরজ নামাজে অনিয়মিত ব্যক্তি মুসলিম ও কাফের দুটোই । তবে তাঁর স্ত্রী বাতিল হয়ে যাবেনা ইদ্দতের মধ্যে তাওবা করে ফিরে এলে । সম্পত্তি থেকেও বণ্চিত হবেনা ।

*** প্রখ্যাত ইমাম আহমদ রহ: বলেছেন “ বিনা কারণে এক ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তি কাফের ।

*** প্রখ্যাত ইমাম মালেক রহ: ও ইমাম শাফেয়ী রহ: বলেন “ বিনা কারণে নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তি ফাসিক । তাকে তিন দিনের সময় দেয়া হবে । যদি তাওবা করে ফিরে আসে ভালো । তিন দিনের মধ্যে তাওবা করে ফিরে না আসলে সরকার তাকে হত্যা করার নির্দেশ প্রদান করবে ।”

*** প্রখ্যাত ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেছেন “ নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তি ফাসেক । নামাজকে অস্বীকার করলেই কাফের হবে । নামাজ ত্যাগ করলে কাফের বলা যাবেনা । তবে নামাজ ত্যাগ করা শির্কের পর সবচে’ বড় গুনাহ । “

*** মহানবী সা: বলেছেন “ যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ না পড়ে ঘুমায়, তাঁর দুই কর্ণে শয়তান পেশাব করে দেয় ।”

ছহীহুল বোখারি

ছহীহ মুসলিম

ইব্নে হিব্বান

নাসাঈ ।

*** সাইয়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রা: বলেন “ ফজরের নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তি একজন সাচ্চা মোনাফিক ।”

*** শায়খ বিন বায রহ: ও শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী রহ: বলেছেন “ ইচ্ছাকৃতভাবে ফজরের নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তি কাফের, মুরতাদ ও ইসলাম থেকে খারিজ । ঐ নামাজের কোন কাজা নেই । বরং তাওবা করে পুণরায় ইসলাম গ্রহণ করতে হবে ।”

*** অতিরিক্ত ঘুমের কারণে ফজরের নামাজ মিস্ হয়ে গেলে ভিন্ন কথা । এমতাবস্হায় যখনই জাগ্রত হবে, তখনই নামাজ পড়ে নেবে । তবে এ ধরণের সিস্টেম যেনো নিয়মিত করে না ফেলা হয় । আর এ কারণেই রাত দেরী করে ঘুমানো মোটেই উচিত নয় । ঘড়ির এলার্ম দিন । সতর্ক হোন । নিজের ঈমানের হেফাজত করুন ।

*** শায়খ বিন বায রহ: বলেন “ যে সকল লোকেরা মাহে রমজানে নামাজ পড়ে , ঈদের পর নামাজ ত্যাগ করে , জুমা’র নামাজে আসে , আর কোন নামাজ পড়েনা , এরা অত্যন্ত মারাত্মক প্রাণী । অত্যন্ত ভয়ংকর মানুষ ।”

*** শায়খ সালেহ উসাইমিন রহ: বলেন “ বেনামাজী ব্যক্তির সংগে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই । তাঁর কোন জানাযা বা কবর নেই । জঙ্গলে বা কোথাও তাঁর মৃত দেহ নিক্ষেপ করতে হবে ।”

*** আল্লাহপাক বলেন “ বেনামাজীদেরকে আমি গাইয়াতে নিক্ষেপ করবো ।

সূরা মারইয়াম ৫৯.

গাইয়া ( غيا ) হচ্ছে জাহান্নামের নদী ।

*** হে মহান রব ! আমাকে এবং আমার পরিবারকে নামাজের মধ্যে রাখুন । আমার জ্ঞাতসারে কোন বেনামাজী আত্মীয় ও বন্ধুদের জানাযা পড়বোনা ।

MQM Saifullah Mehruzzaman


Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form