মসজিদ বিষয়ে মানুষ যে পাপগুলো করে থাকে

মসজিদ বিষয়ে মানুষ যে পাপগুলো করে থাকে

১- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আখিরি জামানায় এমন কিছু লোক হবে যারা মসজিদে গোল বৈঠক করে পার্থিব ও সাংসারিক গল্প গুজব করবে। তোমরা তাদের সাথে বস না। কারণ এমন লোক আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
(সিলসিহাহ সহিহাহ-১১৬৩)

২- ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, কেও যেন মসজিদকে শয়নাগার ও বিশ্রামাগার বানিয়ে না নেয়। (সহিহ তিরমিজি ১/১০৩)

৩- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে বেক্তি পেয়াজ বা রসুন খায়, সে যেন আমাদের থেকে অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে। (মুসলিম) অর্থাৎ কাচা পিয়াজ রসুন খেয়ে মসজিদে যাওয়া নিষেধ যেহেতু অন্যদের কষ্ট হয়।

৪- আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের লক্ষণ হচ্ছে মানুষ মসজিদে প্রবেশ করবে কিন্তু তাহিয়াতুল মসজিদ ২ রাকাত সলাত আদায় করবে না। (সিলসিলাহ সহিহাহ-৬৪৯)

৫- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, মসজিদে থুথু ফেলা অন্যায় আর কাফফারা হল, তা দাফন করে দেওয়া। (বুখারি) মসজিদের ভিতরে বা দেওয়ালে থুতু ফেলা পাপ, কেও ফেললে যেই দেখুক পরিষ্কার করে দিতে হবে।

৬- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা’লা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের অভিশাপ করেন। তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে।
(বুখারি-মুসলিম)

যেই মসজিদে কবর থাকে সেই মসজিদে নামাজ হবে না।

৭- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যখন কাউকে মসজিদে বিক্রি করতে বা খরিদ করতে দেখবে,তখন তাকে বল,আল্লাহ তোমার বেবসায় কোন লাভ না দিক।আর যখন দেখবে কোন বেক্তি মসজিদে হারানো বস্তু তালাশ করছে, তখন বলবে, আল্লাহ যেন তোমার নিকট ফেরত না দেয়।
(তিরমিজি-১৩২১)

কিন্তু আপনি কিছু ফেলে রেখে আসলে
নিতে যেতে পারবেন। মসজিদে মৃত সংবাদ প্রচার করা নিষেধ, এই কারণগুলোর জন্য মসজিদ তৈরি হয় নি।

৮- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের আলামত হল, লোকেরা মসজিদ নিয়ে অহঙ্কার করবে। (আবু দাউদ-৪৪৯)

অর্থাৎ অন্য মসজিদ থেকে নিজেদের মসজিদ বেশী বেশী সুন্দর করে সাজিয়ে অহঙ্কার করবে।

৯- রাসুল (সাঃ) জুমার দীন সলাতের পূর্বে গোল হয়ে বসা হতে নিষেধ করেন। (নাসাই-৭১৪)

অর্থাৎ জুমার খুতবার আগে অন্য কোন বয়ান চলবে না।

১০- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বান্দিদের মসজিদ গমনে নিষেধ করো না। আর তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।
(আবু দাউদ-৪৪২)

মহিলাদের ঘরে সলাত আদায় উত্তম কিন্তু মসজিদে আলাদা বেবস্থা থাকলে আর
তারা যেতে চাইলে বাধা দেওয়া যাবে না।

১১- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী তার গুনাহ সম্পর্কে জানতো, তাহলে তার জন্য ৪০ (৪০ দিন অথবা ৪০ মাস বা ৪০ বছর) পর্যন্ত অপেক্ষা করা উত্তম ছিল মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা থেকে। (বুখারি)

১২- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউই যেন তার ভাইকে মজলিশ থেকে সরিয়ে তার স্থানে না বসে।
(বুখারি)

[মসজিদের ফযিলত, বিধি-বিধান ও আদব ]

ড. সাঈদ বিন আলী বিন ওহাফ আল-কাহতানী]

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form