রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, অাল্লাহ বিদাঅাতি ব্যাক্তির
সাওম,সালাত,সাদকাহ,হজ্ব,উমরা,ফিদাইয়া,ন্যায় বিচার,
জিহাদ কিছুই কবুল করবেন না।
সে এমনভাবে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে যেভাবে
অাটা থেকে পশম পৃথক হয়ে যায়।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস :৪৯)
(অাউযুবিল্লাহ)
বর্তমানে উপমহাদেশের প্রচলিত বিদাঅাতের ভিতর অন্যতম
নিকৃষ্ট একটা বিদাঅাত হচ্ছে "শবে বরাত"।
প্রথমত কুরঅানে এর কোন অস্তিত্ব নেই।কিছু দ্বাজ্বাল
টাইপের অালেম শুধুমাএ একটা অায়াতের ভুল ব্যাখ্যা।অথচ
উল্লেখিত অায়াতটির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা অাল্লাহ সুবাহানা
তাঅালা নিজেই কুরঅানে দিয়ে দিয়েছেন।
সেই অায়াতটি হল,
"অামি কুরঅান নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে।এদিনে
প্রত্যেক গুরত্বপুর্ণ বিষয় স্হির হয়।
(দুখান:৩-৪)
যে মুসলিমটা ধর্মের নুন্যতম কিছু জানে না,সে ও জানে যে
কুরঅান নাযিল কোন মাসে???
অাপনারা দেখতে পারেন সুরা কদর ও সুরা বাকারা এর ১৮৫
নং অায়াতটা।
অতএব শবে বরাতে কুরঅান নাযিল কুরঅান বিরোধি অাকিদা।
দ্বিতীয়ত, সহীহ হাদিসে ও এর অস্তিত্ব নেই।
তবে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়,(প্রায় ১১টি)যার বেশিরভাগ
'ইবনু মাজাহ ' বর্ণনা করেছেন।
# সবগুলোই হাদিসই জাল-জয়ীফ, মুনকার কিংবা মওযু হিসেবে
মুহাদ্দিস গন পরিষ্কার রায় দিয়ে দিয়েছেন। # হাদিস গুলার
সনদ এতটাই দুর্বল যে যা দিয়ে কথাগুলা রাসুল (সঃ) বলেছেন
বলে অনুমান করা যায় না।
তবে ১টা হাদিস দুর্বল হলেও ৭-৮টি সনদে বর্ণনা হওয়াই শায়খ
নাসিরুদ্দিন অালবানি হাদিস টাকে হাসান বলেছেন।তবে
হাদিস টাতে কোন ইবাদত নেই।
হাদিস টা এইরুপ,
রাসুল (সঃ) বলেন, মধ্য শাবানের রাএিতে অাল্লাহ
সৃষ্টিকুলের প্রতি একটা বিশেষ দৃষ্টি দেন।সেইদিন সব
ব্যাক্তি কে ক্ষমা করেন,তবে দুই ব্যাক্তি কে ক্ষমা করেন
না।
অার তারা হল,১.মুশরিক ,২.মুসাহিন।
অর্থাৎ যারা শির্ক কর এবং 'মুসাহিন' এর ব্যাখ্যা করেছেন
ইমাম অাওযায়ি, অার তা হল মুসাহিন অর্থ যারা সুন্নাহ কে
ঘৃণা করে,(এবং বিদাঅাত কে ভালবাসে)।
(হাদিস টি ইবনে মাজাহ বর্ণনায়)
এইখানে কোন ইবাদত নেই।
অাপনি যদি শির্ক ও বিদাঅাত থেকে মুক্ত হয়ে সুন্নাহ কে
অনুসরণ করেন অাল্লাহ চাইলে অাপনাকে মাফ করে দিবেন এই
দিনে এমনকি অাপনি ঘুমিয়ে থাকলেও।
অার উক্ত হাদিস টা দ্বারা বিদাঅাত কে চরম ভাবে ঘৃণিত
দাবি করা হয়েছে।অতএব সুস্পষ্ট যে এই রাএিকে বিশেষ দিন
মনে করা,এর জন্য অায়োজন করা,ইবাদত করা ফযিলত রাত মনে
করে পরিষ্কার বিদাঅাত, গোমরাহি।
অাল্লাহ অামাদের হক বুঝার, মানার তৌফিক দান
করুন,অামিন