হানাফী মুক্বাল্লিদ আলেমরা এত মিথ্যুক জানতে পারতাম না। যদি শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রঃ) এর হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ না পড়তাম তাহলে বুঝতে পারতাম না। আগে থেকেই আমার সন্দেহ ছিলো। এখন সন্দেহ ক্লিয়ার। কথায় কথায় তারা বলতো যে ৪ মাজাহাবের উপর ইজমা হয়ে গেছে। একটা মানতেই হবে। আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহর রহমতে কনফিউশন শেষ। শাহ ওয়ালীউল্লাহ (রঃ) তার বইয়ের ১৮৩ নং পেজে উল্লেখ করছেন যে,
"একটি বিষয় লোকদের জরুরি অবিহিত করা উচিত। কারণ লোকদের বুদ্ধি আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। তাদের পা ফসকে গেছে। তাদের লেখনী ভুল বর্ণনা করছে ও বাকা পথে চলছে। তার মধ্যে একটি মাসয়ালা হলো এই যে ফিকাহর চারটি মাজহাব লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে এবং তাদের উপর ইজমা হয়ে গেছে"। প্রকৃতপক্ষে মাযহাবের পক্ষে কোন ইজমাই হয়নি।
আরো লিখা আছে তাক্বলিদ করা হারাম। তাক্বলিদের মধ্যে কল্যাণ নেই। যারা তাক্বলিদ করে নফসের গোলামি করে। এরকম অনেক কথাই আছে। এক কথায় যারা এই বই পড়বে মাজাহাবের পক্ষে কথা বলবে বলে মনে হয়না। আর তারা এই বই পড়বেনা। পড়েওনা। অথচ এই বই কিন্তু তাদেরই আলেম জামানার শ্রেষ্ঠ আলেম মুহাদ্দিস, শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী (রঃ) এর লিখা। এই বইটি উনি লিখেছিলেন মাজাহাব ত্যাগ করে, তাওবা করে। এক সময় উনি কড়া হানাফী ছিলেন। তার আগের বইগুলো পড়লে বোঝা যায়। আল্লাহর রহমতে জীবনের শেষ সময় এসে তাওবা করে দুটি বই লিখেন।
এর মধ্যে একটি হলো "হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ"।
সবাইকে অনুরোধ বইটি পড়ার।।। বিশেষ করে হানাফী ভাইদের।।। পড়েন। ইতিহাস জেনে নেন। কিভাবে আপনাদের ধোকা দিচ্ছে আপনাদের মিথ্যুক জাহেল আলেমগুলো।।।