মহানবী সা:’র উপর দরুদ পড়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল
মহানবী সাঃ বলেছেন “ সমস্ত দোয়া আবৃত থাকে মহানবী সাঃ’র উপর দরুদ পাঠ করা পর্যন্ত । “
(সিলসিলাহ ছহীহা ২০৩৫, মুসনাদে আহমদ, সুনানে তিরমিযি ৪৮৬)
শায়খ আলবানী রহঃ বলেন “ হাদিসটি হাসান স্তরের । ইব্নে কাসীর রহঃ বলেন “ হাদিসটির সনদ উত্তম ।
ইবনুল কাইয়্যিম রহঃ বলেন “ দোয়ার আগে, মধ্যভাগে ও দোয়া শেষে নবী করিম সাঃ’র উপর দরুদ পড়া অথবা যে কোন দোয়ার শুরুতে এবং শেষে দরুদ পড়া মোস্তাহাব।
جلاء الأفهام ٥٣١-٥٣٥
দরুদ পড়া দোয়ার জন্য শর্ত নয়। বরং মোস্তাহাব।
মহানবী সাঃ বলেছেন “ যখনই তোমরা দোয়া করতে প্রস্তুত হবে, প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করবে অতঃপর আমার উপর দরুদ পাঠ করবে । তারপর দোয়া করবে এবং যা’ খুশি আল্লাহর কাছে চাও ।”
(সুনানে তিরমিযি ৩৪৭৭)
শায়খ আলবানী রহঃ হাদিসটিকে ছহীহ বলেছেন ।
মহানবী সাঃ বলেছেন “ দোয়া করার পূর্বে আল্লাহর প্রশংসা করো । অতঃপর আমার উপর দরুদ পাঠ করো । অতঃপর আল্লাহর কাছে চাও । তা’হলেই সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।”
(সিলসিলাহ ছহীহা ৩২০৪, তাবরানী)
শায়খ বিন বায রহঃ দরুদ বিহীন দোয়া কবুল না হওয়া বা আবৃত থাকার হাদিসটিকে দূর্বল বলেছেন।
মহানবী সাঃ বলেছেন “ আযানের পরপরই আমার উপর দরুদ পাঠ করো । একবার দরুদ পাঠ করা হলে তাঁর উপর দশ বার রহমত নাজিল হবে ।”
(ছহীহ মুসলিম ৩৮৪, ফাতহুল বারী ৩/৪৫৭)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযান শোনার পরপরই দরুদ পাঠ করা অতঃপর আযানের দোয়া পড়া । এটাই নিয়ম ।
ইক্বামতের জবাব দেয়া মোস্তাহাব । ইক্বামত শেষে আযানের দোয়াটি পড়া মোস্তাহাব ।
مصنف ابي شيبة ١/٤٩٦
শায়খ বিন বায রহঃ
সৌদিয়ার সর্বোচ্চ ফতওয়া বোর্ড اللجنة الدائمة
ইক্বামতের পূর্বে সাইয়্যিদুনা বেলাল রাঃ’র দরুদ পাঠের হাদিসটি মুন্কার ও একটি জাল হাদিস ।
(সিলসিলাহ ধঈফাহ ৮৯১)
শায়খ আলবানী রহঃ বলেন “ এ হাদিসটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ।
আযান ও ইক্বামতের পূর্বে দরুদ পাঠ করা বেদাত । পক্ষান্তরে আযান ও ইক্বামতের পর দরুদ পাঠ করা মোস্তাহাব ।
MQM Saifullah Mehruzzaman
Tags
Others