কারো মতে জুমা’র নামাজের নির্দেশ অবতীর্ণ হয় মক্কায় । কিন্তু কাফিরদের শক্তি প্রবল থাকায় তা’ সম্ভব হয়নি ।
এ জায়গা থেকেও শিক্ষা হলো যে, সাধ্যের বাইরে প্রতিবাদ/ কোন কাজ করতে যাওয়া / শাসকের মোকাবিলা করা মোটেই জায়েজ নয় । এ কথা ভুলে যাবেন না যে, মক্কা থাকা অবস্হায় মহানবী সা: ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে পারেননি । সাধ্যের বাইরে শাসকদের বিরোধিতা প্রদর্শন এবং বিরুদ্ধাচারণ আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের অন্তর্ভূক্ত ।
জামহুরের মতে জুমা’র নির্দেশ অবতীর্ণ হয় মদীনায় । যেহেতু সুরা আল জুমা মদীনায় অবতীর্ণ সূরা ।
মদীনার অদূরে সর্বপ্রথম জুমা’র নামাজ সূচনা করেন প্রখ্যাত সাহাবী আসআদ বিন জুরারাহ রা: । তাঁর ইমামতিতে ৪০ জন মুসল্লী নিয়ে এই প্রথম জুমা অনুষ্ঠিত হয় ।
সুনানে আবু দাউদ ।
এ ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে মহানবী সা:’র মদীনায় হিজরতের পূর্বে । অত:পর মহানবী সা: ‘ র মদীনায় হিজরতের পর তিনি সর্বপ্রথম জুমা’র নামাজ শুরু করেন মসজিদে কুবা’য় । এ মসজিদে ২ রাকাত নামাজ আদায় করা একটি ওমরা পালনের সমমান ছওয়াব ।
মহানবী সা: সেখানে পৌঁছেন ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার দিবসে । অত:পর জুমা’ পর্যন্ত অবস্হান করেন এবং জুমা’র নামাজ শুরু করেন ।
মহানবী সা:’র এ ঘটনা থেকে শিক্ষ্যণীয় বিষয় হলো “ ১২ রবিউল আউয়াল যদি তাঁর জন্ম চূড়ান্ত হতো কিংবা জন্মদিন পালন করা জায়েজ হতো, তা’হলে তিনি তা’ কেন পালন করলেন না ? অতএব, মিলাদুন্নবী সা: পালন করা সম্পূর্ণ বেদাত এবং হারাম ।
মদীনার বাইরে সর্বপ্রথম জুমা’র নামাজ সূচীত হয় বাহরাইনের জুছাছা নামক স্হানে আব্দুল কায়েস মসজিদে ।
ছহীহুল বোখারি ।
ঐ সময়ে বাহরাইনের সীমানা ছিলো ইয়েমেন থেকে ওমান পর্যন্ত ।
MQM Saifullah Mehruzzaman
Tags
salat