খতনা বা সুন্নত করার গুরুত্ব এবং উৎপত্তি

••• খৎনা করা পবিত্রতার অংশবিশেষ •••

*** খৎনা করার সুন্নতটির উদ্ভাবক ছিলেন সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আ: । তাঁর অনেকগুলো সুন্নত মহানবী সা: সুন্নত হিসেবে গ্রহণ করেন । বরং নবী হওয়ার আগ পর্যন্ত মহানবী সা: সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আ:’র মিল্লাতের উপর ছিলেন এবং এটা তাঁর প্রতি আল্লাহর নির্দেশ ছিলো । পবিত্র কুরআনের ভাষায় ….

ثم أوحينا اليك ان أتبع ملة ابراهيم….

সূরা আন নাহাল ১২৩

*** মহানবী সা: বলেছেন “ সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আ: ‘র ৮০ বছর বয়সের পর সিরিয়ান একজন রাজমিস্ত্রীর মাধ্যমে ( খুঁড় দ্বারা ) নিজের খৎনা করিয়ে নেন ।”

ছহীহুল বোখারি ৬২৯৮
ছহীহ মুসলিম ২৩৭০

*** হাফেজ হাজার আসকালানী রহ: বলেন “ আল্লাহপাক সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আ:কে বললেন আমি নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথেই এতো দ্রুত খৎনা করিয়ে নিলেন ? জবাবে নবী আ: বলেছিলেন “ হে আল্লাহ ! আপনার নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে দেরী করা আমার অপছন্দ ।” 

এ হাদিসটি এসেছে ابو يعلي তে । 

*** পরবর্তীতে এটা আরব সমাজের ফিতরত হিসেবে পরিচিতি লাভ করে । মহানবী সা:কে জন্মের ৭ম দিবসে খৎনা করান তাঁর দাদা আব্দুল মোত্তালিব । 

تحفة المولود  ٢٠٦
زاد المعاد ١/٨٢

*** ইমাম ইবনুল কাইউম রহ: বলেন “ প্রিয় নবী করিম সা: “ খৎনা সহকারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন “ মর্মে একটি বিশুদ্ধ হাদিসও পাওয়া যায়নি । সবগুলোই দূর্বল । কেউ কেউ বলেন “ হযরত জিব্রাইল আ: তাঁর বক্ষ ছেদন করার সময়ে তাঁকে খৎনা করান !” এসব কথা ভিত্তিহীন । 

*** শায়খ সালেহ উসাইমিন রহ: বলেন “ পুরুষদের জন্য খৎনা করা ওয়াজীব এবং মহিলাদের জন্য সুন্নত । “ 

*** প্রখ্যাত ইমাম আহমদ ইব্নে হাম্বল রহ: বলেন “ পুরুষদের জন্য ওয়াজীব এবং মহিলাদের জন্য উত্তম ।” কেউ কেউ মহিলাদের জন্য মোস্তাহাব বলেছেন ।

*** খৎনা করানোর কারণ কি ? 

খৎনা না করানো হলে লিঙ্গের মাথায় এবং একটু ভেতরে পানি জমে থাকে । নাপাকি দূর হয়না । এ কারণেই পুরুষদের জন্য খৎনা করানো ওয়াজীব । 

*** সাইয়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাস রা: বলেন “ খৎনা করা না হলে তাঁর নামাজ/ হজ্ব কিছুই কবুল হবেনা ।”

المغني ١/١١٥

*** শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ: বলেন “ মহিলাদেরকে খৎনা করানো হলে সেক্স হ্রাস পায় । যা’ পারিবারিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহায়ক । ইহুদী / খ্রীষ্টান মহিলারা খৎনা না করার কারণে তাঁরা খুব বেশী সেক্সি হয়ে থাকে এবং উলঙ্গপনা/ বেহায়াপনা এবং লাগামহীন যৌনতায় ভেসে যায় ।”

مجموع الفتوي  ٢١/١١٤

*** এ বিষয়টি থেকে একটা পরিষ্কার হলো যে, সকল মুসলিমদের খৎনা থাকতে হবে । যদি কোন অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেন, তিনি যে বয়সেরই হোক না কেন, তাঁকেও খৎনা করাতে হবে । 

*** খৎনা করানো উপলক্ষে পার্টী দেয়া / খাওয়ার আয়োজন ইত্যাদি কোন কিছুই প্রমাণিত নয় । 

MQM Saifullah Mehruzzaman

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form