আল্লাহ আদেশ দিয়ে বলেন “ তোমরা আত্মীয়দের হক্ব আদায় করো ।”
সূরা আর রোম ৩৮
সূরা আল ইসরা ২৬
*** মৃত মা বাবা’র রেখে যাওয়া সম্পদে মেয়েদের অধিকার রয়েছে ।
বলেছেন মহান আল্লাহপাক ।
সূরা আন্ নিসা ৭-১২ পর্যন্ত ।
*** মহানবী সাঃ বলেছেন “ যে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে অন্যায়ভাবে এক বিঘত জমি দখল করবে, কেয়ামতের মাঠে ( জাহান্নামে প্রবেশের আগেই ) সাত স্তরের জমিন তার গলায় পরিয়ে দেয়া হবে ।”
ছহীহুল বোখারি ৩১৯৮
ছহীহ মুসলিম ১৬১৮
*** মহানবী সাঃ বলেছেন “ যে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে কিণ্চিৎ পরিমাণ জমি জোরপূর্বক দখল করে নেবে, কেয়ামতের দিন ( বিচারকার্য শুরু হওয়ার আগে ) তাকে সাত জমিনের নাচে ধসিয়ে দেয়া হবে ।”
ছহীহুল বোখারি ২৪৫৪
*** মা বাবা’র যে কেউই মারা যাওয়ার পর তাদের সম্পত্তি ভাগ করে দেয়া ছেলে সন্তানদের উপর দায়িত্ব ।
এখানে সম্পত্তি বলতে বসত ভিটা, ধানের জমি , ব্যাংকে থাকা টাকা, কারো কাছ থেকে পাওনা টাকা সবটাই অন্তর্ভুক্ত ।
*** যদি ভায়েরা বোনদের এসব সম্পদ থেকে তাঁদের প্রাপ্য না দেয়, এ সকল ভাইদের জন্য জাহান্নাম চিরঅবধারিত । যতো বড় হাজ্বী নামাজী দানশীল পরহেজগার দ্বীনদার আল্লাহ ওয়ালা হোক না কেন, জাহান্নাম ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই । কেয়ামতের মাঠে জাহান্নামে যাওয়ার আগেই কঠিন শাস্তি শুরু হবে । যা’ আমি হাদিসে তুলে ধরেছি । অর্থাৎ বোনের হক্ব আত্মসাৎকারী ভায়েরা জাহান্নামের টিকিট প্রাপ্ত । এটা সুনিশ্চিত ।
*** আল্লাহ কখনোই বান্দার হক্ব মাফ করবেন না । এ কথা হাদিসে বলা হয়েছে ।
*** যে ভাই তার বোনের হক্ব আত্মসাৎ করে, সে একজন হারামখোর ! তাঁর সন্তানেরা হারামখোরের সন্তান ! তাদের রক্ত হারাম থেকেই !
*** সুতরাং আল্লাহর ভয়ংকর শাস্তিকে ভয় করুন । বোনের হক্ব আত্মসাৎ করে নিজের দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই ধ্বংস করবেন না । বোনদের বদ দোয়া থেকে নিজেকে বাঁচান । নচেৎ দুনিয়া থেকে ঈমান নিয়েও যেতে পারবেন না !!!
*** বোনদের প্রাপ্য মানে কর্জ সদৃশ । এ কর্জ আদায় না করে মারা গেলে তাঁর জানাজা পড়াও জায়েজ নেই একজন আলেমের জন্য । কারণ মহানবী সাঃ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা পড়াননি ।
Tags
questionanswer