আল্লাহপাক বলেন “ আল্লাহপাক তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আমানতদারের আমানত আদায় করে দেয়ার জন্য ।”
সূরা আন নিসা ৫৮
মানব দেহ আল্লাহর আমানত । আল্লাহপাক ধন- সম্পদকে উত্তরাধিকারের জন্য মিরাছ বানিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু দেহকে কারো জন্য মিরাছ ঘোষণা করেননি । এতে বুঝা যায় যে, এটা আল্লাহর আমানত । এ আমানত যথাযথভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে ।
*** অনেক ফুকাহ্বার মতে মরনোত্তর চক্ষু দান করা জায়েজ । এ ক্ষেত্রে মৃত্যেুর পূর্বেই ব্যক্তির অনুমতি নেয়া বা তাঁর মৃত্যেুর পর পরিবারের অনুমতি নেয়া আবশ্যক । নচেৎ জায়েজ হবেনা ।
*** যে সব লোক অজ্ঞাত হয়ে মারা যায় এবং তাঁদের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়না , সরকারের অনুমতি নিয়ে তাঁদের চোখ জীবিত মানুষের জন্য ব্যবহার করা জায়েজ ।
*** ডাক্তারের পরামর্শে রোগীর দেহের একটি অঙ্গ তাঁর অন্য জায়গায় ফিট করা জায়েজ ।
*** দেহের যে অঙ্গ থাকার উপর তাঁর জীবন নির্ভর করে , সে অঙ্গ দান করা হারাম । কেননা এটা দান করে দেয়া হলে তিনি মারা যাবেন । যেমন হৃৎপিন্ড ।
*** যে অঙ্গ দান করার পর তা’ Automatically ভরাট হয়ে যায়, তা’ দান করার ক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই ।
*** দেহের অঙ্গ দান করা আর বিক্রি করা এক জিনিস নয় । অঙ্গ বিক্রি করা হারাম । তবে হাদিয়া স্বরুপ কেউ কিছু দিয়ে থাকলে তা’ গ্রহণ করা যেতে পারে ।
*** শায়খ বিন বায রহঃ এ বিষয়টি মতভেদপূর্ণ মাসআলা । আমার মতে অঙ্গ দান করা উচিত নয় এবং অঙ্গ দান করার অসিয়ত করে যাওয়া উচিত নয় । “
*** শায়খ সালেহ উসাইমিন রহঃ বলেন “ মৃত / জীবিত ব্যক্তির কোন অঙ্গই দান করা বা কোন রোগীর জন্য ব্যবহার করা সুস্পস্ট হারাম । বৈধ হওয়ার কোন চান্স নেই । এমনকি মৃত্যেুর পূর্বে কেউ এ ধরণের দান করার অসিয়ত করলেও তা’ পালন করা জায়েজ নয় ।”
আল্লাহপাক বলেছেন “ আমি আদম সন্তানদেরকে সম্মানিত করেছি ।”
সূরা আল ইসরা ৭০
মহানবী সাঃ বলেছেন “ মৃত ব্যক্তির হাড় ভেঙ্গে দেয়া জীবিত ব্যক্তির হাড় ভেঙ্গে দেয়ার মতো অপরাধ ।”
সুনানে আবু দাউদ ৩২০৭
সুনানে ইব্নে মাজাহ ১৬১৬
মুসনাদে আহমদ ২৪৭৩৯
حلية الاولياء ٧/١٠٣
এখানে জীবিত / মৃত উভয় ব্যক্তির জন্য একই কথা ।
*** শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহঃ বলেন “ দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দান করা মোটেই জায়েজ নয় । কেননা এ ধরণের কাজ মৃত ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক । “
*** আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো “ অঙ্গ / প্রত্যঙ্গ দান না করা । যেহেতু বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ । অঙ্গ দান করে কারো উপকার করা মোটেই জরুরী নয় ।