ইবনু তাইমিয়াহ বলেন, সন্দেহ নেই, আহলে হাদীস হচ্ছেন তাঁরা, যারা এই উম্মতের মধ্যে সবচে বেশী জ্ঞানী (দ্বীনের বিষয়ে)। বিশেষ করে যারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জ্ঞান সম্পর্কে (সুন্নাহ সম্পর্কে) বেশী জ্ঞান রাখেন।
রেফারেন্সঃ মাজমু উ ফাতাওয়াঃ ৪/৯১
ইবনু তাইমিয়াহ আরো বলেন, আহলে হাদীস হচ্ছেন প্রথম তিন যুগের সালফে সালিহীন এবং তাদের অনুসারীগণ। অর্থাৎ সাহাবীগন, তাবেয়ীগণ এবং তাবে তাবেয়ীগণ এবং তাদের অনুসারীগণ।
রেফারেন্সঃ মাজমু উ ফাতাওয়াঃ ৬/৩৫৫
ইমাম নববী (রাহ) বলেন, ﻭﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻟﻴﺴﻮﺍ ﺣﺰﺑﺎً ﻭﺍﺣﺪﺍً ﻳﻌﺮﻑ ﺑﻬﺬﺍ ﺍﻻﺳﻢ ﺑﻞ ﻫﻢ ﻣﺘﻔﺮﻗﻮﻥ ﻓﻲ ﺃﻗﻄﺎﺭ ﺍﻟﻤﻌﻤﻮﺭﺓ ﻓـ " ﻣﻨﻬﻢ ﺷﺠﻌﺎﻥ ﻣﻘﺎﺗﻠﻮﻥ ﻭﻣﻨﻬﻢ ﻓﻘﻬﺎﺀ، ﻭﻣﻨﻬﻢ ﻣﺤﺪﺛﻮﻥ، ﻭﻣﻨﻬﻢ ﺯﻫﺎﺩ، ﻭﺁﻣﺮﻭﻥ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ﻭﻧﺎﻫﻮﻥ ﻋﻦ ﺍﻟﻤﻨﻜﺮ، ﻭﻣﻨﻬﻢ ﺃﻫﻞ ﺃﻧﻮﺍﻉ ﺃﺧﺮﻯ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻴﺮ، ﻭﻻ ﻳﻠﺰﻡ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻧﻮﺍ ﻣﺠﺘﻤﻌﻴﻦ، ﺑﻞ ﻗﺪ ﻳﻜﻮﻧﻮﻥ ﻣﺘﻔﺮﻗﻴﻦ ﻓﻲ ﺃﻗﻄﺎﺭ ﺍﻷﺭﺽ " ( ﺷﺮﺡ ﻣﺴﻠﻢ ﻟﻠﻨﻮﻭﻱ 13/67 ).
অর্থাৎ আহলে হাদীস কোন এক দল নয় যাদেরকে এ নামে পরিচয় করা হবে। বরং আহলে হাদীস পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক থাকেন। তাঁরা হচ্ছেন- আল্লাহর রাস্তায় যোদ্ধাগণ, ১/ফকীহগণ, ২/মুহাদ্দিসগণ, ৩/অলী আউলিয়াগণ ৪/ভাল কাজের প্রতি নির্দেশ দানকারী এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ দানকারী ব্যক্তিবর্গ। ৫/এবং কল্যাণকর পথে চলা অন্যান্য ব্যক্তিগণ।
ইমাম নববী (রাহ) বলেন, এদেরকে এক গ্রুপে জমায়েত থাকা লাযিম তথা আবশ্যক নয়। বরং তাঁরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। এরাই হচ্ছেন, আহলে হাদীস। রেফারেন্সঃ শারহু মুসলিম লিন নাওয়াওয়ী-১৩/৬৭
তাহলে পরিস্কার প্রমাণ পাওয়া গেল, চার মাযহাবের ইমাম সহ সকল মুহাদ্দিস, ফকীহগণ এবং ওলী আউলিয়াগণ সহ অন্যান্য নেককার লোকজনই মূলত আহলে হাদীস, যাদেরকে হাদীসের পরিভাষায় “আসহাবুল হাদীস” বলা হয়েছে। আর তারাই হচ্ছেন আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ। _______________