প্রশ্ন: কোন বিধবা মহিলার সাবালিকা মেয়ে থাকলে তার দ্বিতীয় স্বামীর সামনে কি ওই মেয়ের জন্য পর্দা ফরজ?

জীবন ঘনিষ্ট কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-১১
➖➖➖➖🔸🔹🔸➖➖➖➖

 প্রশ্ন: আমি শেষ রাত্রে উঠে নামাজ পড়তে চাই কিন্তু বেশি ঘুমের কারণে উঠতে পারিনা। আমি যদি এখন এশার পরে ঘুমানোর আগে দু/চার রাকাত নফল নামাজ পড়ে নি তাহলে কি ওই সওয়াবটা পাওয়া যাবে?   
                       
উত্তর: শেষ রাতে ফজরের পূর্ব মুহূর্তে তাহাজ্জুদ এর সালাত আদায় করা সবচেয়ে উত্তম। তবে তখন ঘুম থেকে উঠা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করলে ইশার সালাতের পরেই 2/4/6/8 ইত্যাদি যে কোন সংখ্যায় তাহাজ্জুদ পরে তার পরে বিতর নামাজ পড়ে নিলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে সব সময় এমনটি না করে চেষ্টা করতে হবে ফজরের কিছুক্ষণ আগে ওঠার।
আল্লাহ তৌফিক দান করুন। 
🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸

প্রশ্ন:অনেকে বলে থাকেন যে, বেপর্দা মহিলাদের সামনে পর্দা করা জরুরি। একথাটা কি ঠিক?          

উত্তর: আল্লাহ তাআলা মুসলিম নারীদেরকে কেবল পর পুরুষ (নন মাহরাম) থেকে পর্দা করতে আদেশ করেছেন। মাহরাম পুরুষের সামনে অথবা মহিলা অঙ্গনে তাদের জন্য পর্দা করা আবশ্যক নয়।
কেউ যদি বেপর্দা নারীদের সামনে পর্দা করতে বলে তাহলে সে দ্বীনের মধ্যে দলিল বহির্ভূত এবং বাড়াবাড়ি মূলক কথা বলল। 
والله أعلم
🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸

প্রশ্ন: এক ব্যক্তি একজন বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেছেন। আর সে মহিলার প্রথম স্বামীর ঘরের একটা মেয়ে আছে। এখন প্রশ্ন হল, সে বিধবা মহিলার মেয়েটিকে কি তার দ্বিতীয় স্বামীর নিকট পর্দা করতে হবে?                         

উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি কোন বিধবা মহিলাকে বিবাহ করার পর তার সাথে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করে (অর্থাৎ তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়ে থাকে) তাহলে ওই মহিলার পূর্বের স্বামীর পক্ষ থেকে মেয়ে তার জন্য মাহরাম হিসেবে বিবেচিত হবে।
সুতরাং তার জন্য উক্ত মেয়ের সাথে পর্দা করা আবশ্যক নয়। আল্লাহ বলেন:
وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ
“তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই।" (সূরা নিসা: ২৩)
🔸🔹🔸🔹🔸🔹

প্রশ্ন: রাতে ঘুমানোর আমলগুলো অযু ছাড়া কেউ যদি মুখস্ত বা নিজের মেমোরি থেকে পাঠ করে তবে কি একই ফজিলত পাবে ?        

 উত্তর: ওযু ছাড়াও উপরোক্ত আমলগুলো করলে তাতে সওয়াবের কোন কমতি হবে না ইনশাআল্লাহ।
তবে ঘুমের পূর্বে ওযু করা উত্তম।
🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸

প্রশ্ন: সাইনাস, গলাব্যথা এবং জ্বরের কারণে মাঝে-মাঝে শীতকালে গরম বা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ওযু করতে গেলে শরীরে কাঁপুনি আসে। শারীরিক দিকে দিয়ে খুবই খারাপ লাগে। এক্ষেত্রে কিছুদিনের জন্য তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করা ঠিক হবে কি? কারণ পানি আছে কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না।

উত্তর:
হ্যাঁ, পানি ব্যবহার করার কারণে যদি অসুখ-বিসুখ বৃদ্ধি পাওয়ার অথবা সুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করা জায়েজ রয়েছে। 

👉 তায়াম্মুম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত হুকুম-আহকাম জানতে এই পোস্টটি পড়ার অনুরোধ করছি:
https://goo.gl/4r1nZN
-------------
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form