প্রশ্ন :- জায়গা সমস্যার কারণে কবর স্থানান্তর করা যাবে কিনা দয়া করে জানাবেন।

জীবন ঘনিষ্ট কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর -পর্ব: ১৩
-----------------------------
প্রশ্ন :- জায়গা সমস্যার কারণে কবর স্থানান্তর করা যাবে কিনা দয়া করে জানাবেন। 

উত্তর: যেখানে কবর আছে, সেখান থেকে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লাশ স্থানান্তরিত করা ঠিক নয়। 
তবে যদি ঐ জায়গা ছাড়া বসবাসের আর কোন জায়গা না থাকে বা ঘর সম্প্রসারণের জন্য ঐ জায়গাটা অপরিহার্য হয়ে পড়ে তাহলে উক্ত করব খনন করে লাশের হাড়-হাড্ডি যা পাওয়া যায় অত্যন্ত সম্মানের সাথে তা তুলে নিয়ে মুসলিমদের গোরস্থানে কবর খনন করে সেখানে সেগুলো পূঁতে দিতে হবে। আল্লাহু  আলাম।
▪▪▪▪▪▪▪▪

প্রশ্ন: কুরবানীর পশু জবেহ করার সময় কোন দুআ পড়তে হয়? 
নির্দিষ্ট কারো নামে কি কুরবানী করা যায়?

উত্তর: কুরবানীর পশু জবেহ করার সময় কেবল ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহর নামে...আল্লাহ সবচেয় বড়) বলাই যথেষ্ট।
কুরবানী করতে হয় কেবল আল্লাহর নামে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কুরবানী করা শিরক।
তবে নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করার পাশাপাশি নিয়তের মধ্যে নিজ পরিবারের জীবিত সদস্য ও মৃত ব্যক্তিদেরকে  শরিক করলে আল্লাহ সকলকে সওয়াব দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
নির্দিষ্টভাবে কোন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা ঠিক নয়-যদি তার পক্ষ থেকে ওসিয়ত না থাকে। 
▪▪▪▪▪▪▪▪

প্রশ্ন:- You Tube এ কিছু Video আছে - সেখানে দেখা যাচ্ছে বিড়াল কে কুরআন এর উপর থেকে আনার চেস্টা করা হচ্ছে, কিন্তু আসছে না, পাশ কেটে চলে আসছে, সাধারন সব বই এর উপর থেকে পা দিয়ে হেটে আসছে,  এক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য কি?

উত্তর ঃ  এ সব ভিডিও সঠিকও হতে পারে আবার ফেইকও হতে পারে। আমাদের এসব বিষয়ে গুরুত্ব দেয়াই উচিৎ নয়। কুরআনের অলৌকিত্ব প্রমাণের জন্য এ সব অদ্ভূত বিষয় অবতরণার কোন দরকার নাই। 
আরেকজন এমন একটা ভিডিও বাানতে পারে যে, বিড়াল কুরআনের উপর উঠে বসে আছে....তখন কি কুরআন মিথ্যা হয়ে যাবে? কখনোও নয়। সুতরাং ইসলামে এ সব ঘটনার কোন গুরুত্ব নাই।
কুরআন আল্লাহর গ্রন্থ যা বিশ্ববাসীর হেদায়েতের জন্য নাজিল করা হয়েছে। আমাদের কতর্ব্য, কুরআন নিয়মিত তিলাওয়াত করা, বুঝা, গবেষণা করা এবং সে আলোকে জীবন ও জগত পরিচালনা করা-এটাই যথেষ্ঠ। 
▪▪▪▪▪▪▪

প্রশ্ন: শিফা লাভের জন্য পানিতে যদি কুরআনের কোনো দুয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে পান করা হয়  সেটা কি ঠিক হবে? 

উত্তর :- কুরআনের নির্দিষ্ট আয়াত বা সুরা ও হাদিসের দুআ পড়ে পানিতে ফুঁ দেয়া ঠিক নয়। কারণ হাদিসে খাদ্য-পানীয় দ্রব্যে বা পানাহারের পাত্রে ফুঁ দেয়া নিষেধ করা হয়েছে। তবে আয়াত বা দুআ পড়ে এমনভাবে পানিতে দম করা যায় যে, থুথু ফেলার মত আওয়াজ হবে কিন্তু তাতে পানি বের হবে না। আরবীতে এটাকে نفث বলা হয়। পানি পড়ার ব্যাপারে হাদিসে নাফস نفث শব্দটি এসেছে। 
পানি পড়ার ব্যাপারে নিন্মোক্ত হাদিস দ্বারা দলীল পেশ‌করা হয়:
 رقى لـثابت بن قيس بن شماس في ماء ثم صبه عليه
কিন্তু এ হাদিসটিকে শাইখ আলবানী যইফ বলেছেন।
...............
উত্তর দিয়েছেন শাইখ আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল।

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form